Corona Virus: Parents, siblings and other relatives of autism children should do

Corona Virus

করোনা ভাইরাস: অটিজম আক্রান্ত শিশুদের বাবা-মা, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্বীয় স্বজনদের করণীয় কাজ:

সারাবিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছে এবং এটাই স্বাভাবিক। তবে এই আতঙ্কের চেয়ে সচেতনতা এবং সতর্কতা অতিব জরুরী। সাধারণত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বলা হচ্ছে সর্বদা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে যেমন-

  • সাবান দিয়ে বার বার হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা
  • নাকে, মুখে বা চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকা
  • কোনো ময়লা-আবর্জনা না ধরা বা ধরে ফেললে সাথে সাথে হাত পরিস্কার করা
  • বাসার গেইট, দরজার হাতল, লিফটের পুসবাটন, সিড়ি ইত্যাদি খালি হাতে না ধরা
  • অযথা বাইরে ঘোরাফেরা না করা বা জনসমাগম এড়িয়ে চলা ইত্যাদি

কিন্তু একজন বিশেষ শিশু (অটিজম, এডিএইচডি, ডাউনসিনড্রোম ইত্যাদি) এই সতর্কতামূলক উপদেশের কোনোটাই ঠিকমতো বুঝতে পারেনা বা পারবেনা। উল্টো তারা বিভিন্ন জিনিস বা খেলনা ধরে রাখতে পছন্দ করে বা ছোটাছুটি করে, কোনটা ময়লাযুক্ত বা কোনটা পরিস্কার বুঝতে পারে না, কেউ আবার সারাক্ষণ সবকিছু মুখে দিতে থাকে যেমন- নিজের হাত, খেলনা, ময়লা ইত্যাদি। অনেকেই দরজা খোলা-বন্ধ করতে পছন্দ করে, জানালার গ্রিল বেয়ে উঠতে বা সিড়ি উঠা-নামা করতে পছন্দ করে। কেউ একটু সুযোগ পেলেই বাইরে ছুটে যায় কিংবা বাসার বড়দের সাথে জেদ করে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। কিন্তু বর্তমানের এই বৈরি পরিবেশ বিশেষ শিশুর জন্য খুবই বিপদজনক তাই তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বটা আমাদেরকেই নিতে হবে।
তাই আসুন জেনে নেই কিভাবে বাচ্চাদের করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি:

  • বাচ্চার জন্য আলাদা একটা রুম প্রস্তুত করুন বিভিন্ন খেলনা সহ যেখানে সে তার ইচ্ছামতো খেলতে পারবে বা নড়াচড়া-দৌড়াদৌড়ি করতে পারে।
  • সকল খেলনা প্রতিদিন পরিস্কার করুন এবং ঐসব খেলনা দিন বাচ্চাকে যেগুলো খুব দ্রুত পরিস্কার করা যায় যেমন- ভালো মানের প্লাস্টিকের খেলনা, কাঠের তৈরি খেলনা।
  • খেলার রুম নিয়মিত পরিস্কার করুন কমপক্ষে দিনে দুইবার যেমন- মেঝে, দেয়াল, দরজা (বিশেষ করে হাতল), জানালা, পর্দা ইত্যাদি।
  • বিছানা পরিস্কার করুন খুব সতর্কতার সাথে, সম্ভব হলে প্রতিদিন বিছানার চাদর, বালিশের কাভার পরিবর্তন করে দিন কারণ এ দুটোর মাঝে বাচ্চার প্রসাব ও মুখের লালা পরার অতিব সম্ভবনা থাকে যাকিনা রোগ-জীবাণু বা ভাইরাস বসবাসের খুবই উপযোগী।
  • যেসব বাচ্চা হাত/খেলনা মুখে দেয় তাদের হাত ও খেলনা প্রতি ৪০-৬০ মিনিট অন্তর অন্তর পরিস্কার করে দিন।
  • বাচ্চার খাবারের জিনিসপত্র (যেমন-প্লেট, চামচ, গ্লাস) প্রতিবার খাওয়ার পর পরিস্কার করুন, খাবারের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য জিনিস গুলোও পরিস্কার রাখুন যেমন- চেয়ার, টেবিল, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি।
  • প্রতিবার টয়লেটের পর খুব ভালো ভাবে পরিস্কার করুন পটি, কমোড এবং ডায়পার পরানোর জায়গা অবশ্যই স্যানিটাইজার দিয়ে পরিস্কার করবেন।
  • বাসার কার্পেট, সোফা, ফার্নিচার, ফ্যান-লাইট, বারান্দা বা অন্য কোনো খোলা জায়গা থাকলে ও রান্নাঘর খুব ভালো করে পরিস্কার রাখুন বিশেষ করে সোফা, ফার্নিচার ও বারান্দার নিচের ময়লা কারণ অনেক শিশু এগুলো খুটিয়ে খুটিয়ে বের করে মুখে দেয়।
  • বাসায় কেউ অসুস্থ থাকলে তাকে বাচ্চার কাছ থেকে দুরে থাকতে বলুন সে বাবা-মা বা অন্য যে কেউ হোক না কেনো এবং বাচ্চাকেও বার বার বোঝান সে যেন অসুস্থ কারো সাথে না মেশে।
  • থেরাপি/স্কুলের কাজ গুলো আপাতত বাসাতেই করুন, আর যদি থেরাপিতে/স্কুলে যেতে হয় তাহলে অবশ্যই পাবলিক গেদারিং এড়িয়ে চলবেন, মাস্ক পরিধান করবেন এবং থেরাপি রুম/ক্লাস রুমে ঢুকার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে নিবেন।

আশা করছি উপরের নিয়মগুলো আমরা মেনে চললে করোনা সংক্রামণ থেকে বিশেষ শিশুদের রক্ষা করতে পারব। ইনশা-আল্লাহ। বাকিটা আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা।

জনস্বার্থে: স্পেশাল কেয়ার ফাউন্ডেশন (এসসিএফ)

Leave a comment

error: